রংপুর ব্যুরো
রংপুরের মিঠাপুকুর থানার, ১৬নং মির্জাপুর ইউনিয়নের,র্খোদ্দ নুরপুর গ্রামে জমিজমা নিয়ে দুই গ্রুপের মারামারিতে এক জন জখম ও দুই জন আহত হয়ে তাদেরকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে।ঘটনায় মিঠাপুকুর থানায় ২০ জনকে আসামী করে এজাহার দায়ের করেন বাবলু মিয়া।
এজাহারের ভিত্তিতে জানা যায়, মিঠাপুকুর থানার, মির্জাপুর ইউনিয়নের র্খোদ্দ নুরপুর গ্রামে মোহাম্মদ আলীর ছেলে প্রাইমারি স্কুল শিক্ষক মোঃ বাবলু মিয়ার সাথে একই গ্রামের মৃত তোফাজ্জল হোসেনের ছেলেদের সাথে জমিজমা নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে বিরোধ মামলা মোকদ্দমা ও গন্ডগোল চলে আসছিলো।
বাবলু মিয়া বলেন সেই গন্ডোগোলের জের ধরে গত ০৭/০৫/২০২০ তারিখে পরিকল্পিত ভাবে আমার ক্রয় কৃত জমি দখল করা উদ্দেশ্যে তাদের সন্ত্রাসী ভূমিদস্যু বাহিনী কে সঙ্গে নিয়ে হাতে লাঠি, রড, বল্লম ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে আমার ক্রয় কৃত ভোগ দখলীয় জমিতে অনুপ্রবেশ করে বেদখল করিয়া ঘর তোলার চেষ্টা করে সেই সময় আমি লোকমুখে সংবাদ পাইয়া সংগে সংগে লোকজন নিয়ে ক্রয়কৃত ঐ জমিতে গেলে মোজাফফর,মোস্তফা, তোজাম্মেল তিন জনের পিতা মৃত তোফাজ্জল, বক্কর মিয়া,পিতা মোহাম্মদ আলী, ছালেক মিয়া,পিতা দেলাবর হোসেন,দেলাবর হোসেন পিতা মৃত জাফর আলী, সোহেল পিতা জয়দাল মিয়া, জয়দাল পিতা-মৃত জাফর আলী, নজরুল পিতা-মৃত জাফর আলী, রবিউল পিতা নজরুল মিয়া, আজিজুল পিতা জয়দাল মিয়া, শ্রাবণ পিতা মোস্তফা আলী, রশিদা,স্বামী মোস্তফা, সালেহা বেগম,স্বামী দেলাবর, আম্বিয়া বেগম,স্বামী জয়নাল, তানজিনা বেগম,স্বামী জয়দাল লাঠি, রড়, বল্লম ও ধারালো অস্ত্র নিয়ে, তাদের উপর হামলা করে।
এ সময় বাবলু মিয়ার ৩জন লোক মারাত্মক জখম হয়। তাদেরকে দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এবং তারা বর্তমান চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছে। এ ঘটনার তথ্য জানার জন্য মিঠাপুকুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জাফর আলী বিশ্বাসকে ফোন দিলে তিনি বলেন, এই দুই পক্ষ এই ঘটনা আগেও তারা অনেক গন্ডগোল করেছে ও এর আগেও তাদের মামলা হয়েছে।
যেহেতু তারা এজাহার দিয়েছেন নিয়েছি কিন্তু ঘটনা তদন্ত করে সত্যতা পাওয়া গেলে অবশ্যই দুষী ব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।